গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করা অনেকটা স্বপ্নের মত। কিন্তু এই স্বপ্ন অনেকেই সহজে বাস্তবায়ন করতে পারলেও অনেকের জন্য এটা দুস্বপ্ন! গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে সফল হতে হলে যে কাজটি করতে হবে তা হল – শতভাগ গুগলের ট্রামস এন্ড কন্ডিশন অনুসরণ করতে হবে। আজীবন যদি আপনি এই মাধ্যম থেকে টাকা আয় করতে চান তবে অবশ্যই আপনি গুগলের সাথে ১০০% ট্রাস্টেড হয়ে কাজ করতে হবে।
১। থার্ড পার্টি কোন ভিজিটর প্রোভাইডার থেকে সাইটের জন্য ভিজিটর কিনবেন না। ১০০০% এডসেন্স সেইফ ভিজিটর গ্যারান্টি দিলেও। ১০-১৫ দিন পর একাউন্টে এড লিমিট চলে আসবে নয়ত টাকা হোল্ড করে রেখে দিবে নয়ত একাউন্ট বন্ধ বা রিজেক্ট করে দিবে।
২। ১০০% সার্চ ইঞ্জিন থেকে রেফার করা ভিজিটর নিয়ে আসবেন। সাইটে এড শো করছে কি না নিজে চেক করে দেখতে যাবেন না। আপনার সাইটে এড শো করছে কি না তাও দেখার দরকার নাই। গুগল এডসেন্সের ড্যাশবোর্ডে তো আপনি সেটা দেখতেই পারবেন।
৩। অটো জেনারেটেড কোন ট্রাফিক এক্সচেঞ্জারও ব্যবহার করবেন না। গুগল এটা একদমই পছন্দ করে না। ভুলেও এটা ব্যবহার করতে যাবেন না।
৪। অটো এডস ব্যবহার না করে যে পোস্টে গুগল থেকে ১০০% রিয়েল ভিজিটর আসে সেই পোস্টে এড বসান। সাইটে প্রবেশ করেই এড শো করবে এমনটা না করা বুদ্ধিমানের কাজ। আপনার কম্পিটেটর বা আপনার পরিচিতদের মধ্যে কেউ শত্রুতাবশত এডে বারবার ক্লিক করে আপনার এড লিমিট বা বন্ধ করে দিতে পারে।
৫। এড লিমিট আসলে এডসেন্স ড্যাশবোর্ড থেকে কোড রিমুভ করবেন না। গুগল যদি সন্দেহ করে আপনার সাইটের ভিজিটর রিয়েল না , তখন এড লিমিট করে দিবে। এমনটা হলে আপনার কাজ হবে সাইটের এসইও করা এবং গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর নিয়ে আসা।
৬। এড লিমিট আসলে প্রধান কাজ হচ্ছে এসইও করা। তারপর এডসেন্স ড্যাশবোর্ড থেকে ফিডব্যাক দিতে পারেন। এক্সপার্ট কাউকে হায়ার করলে সে এই কাজগুলো করে দিতে পারবে।
৭। এডসেন্স এপ্রুভড ওয়েবসাইটকে সোশিয়াল মিডিয়া এমকি ফেইসবুকেও শেয়ার করা উচিত না। তবে একান্তই শেয়ার করতে চাইলে যে পেইজে বা পোস্টে গুগলের এড রয়েছে সেই পেইজ বা পোস্টের লিংক শেয়ার না করাই উত্তম।
সবশেষে যে কথাটি বলতে চাই তা হল, এডসেন্স থেকে আজীবন নিরাপদে ইনকাম করতে চাইলে সাইটে নিয়মিত আরটিকোল পোস্ট দিতে হবে এবং এসইও করতে হবে। দ্রুত ও সর্টকাট আার্নিং বাড়ানোর কোন চেষ্টা করবেন না।