জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় নিশ্চিন্তা-পাঠানপাড়া সড়কের দুই পাশে আধা কিলোমিটার জুড়ে থাকা তালগাছ ‘ন্যাড়া’ করে দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই সড়কে স্থানীয় দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে স্থানীয়দের সঙ্গে অংশ নেন শিক্ষার্থীরাও।
স্থানীয়রা জানান, এক যুগ ধরে জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা-পাঠানপাড়া সড়কের কর্ণপাড়া-পাঠানপাড়া অংশে সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে তাল গাছগুলো ছিলো। এছাড়াও ওই রাস্তার পাঠানপাড়া পর্যন্ত পশ্চিমপাশে বৈদ্যুতিক লাইন ছিলো। ওই দুপাশের ছোট-বড় গাছগুলো ন্যাড়া করে দেয়া হয়েছে। জেলার বড়তারা ইউনিয়নের গণমঙ্গল থেকে পাঠানপাড়া রাস্তার কর্ণপাড়া এলাকার পূর্বপাশের প্রায় ৫০টি তালগাছসহ বিভিন্ন ধরনের গাছের ডাল কাটা হয়েছে। কয়েকটি গাছের দুই-একটি ডাল রাখলেও মাথা রাখা হয়নি। এসব গাছ কেটেছে পল্লী বিদ্যুতের লোকজন। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ব্যানারে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
উজ্জ্বল নক্ষত্র ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন লাইন পরিষ্কারের নামে ঝুঁকিপূর্ণ সময় গাছগুলো কেটেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে সড়কের ৪০টি তালগাছকে হত্যা করেছে। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় পরিবেশবাদী কর্মী ও কালাইয়ের শুভসংঘের সভাপতি এম রাসেল আহমেদ বলেন, যখন এ তাল গাছগুলো কাটা হচ্ছে, তখন আমি প্রতিবাদ করলাম। তারপরও তারা না শুনে ন্যাড়া করে কেটেছে। এর আগে কয়েকটি গাছ ন্যাড়া করে দেয়ায় তা মারা গেছে। এবার এই গাছগুলোও মারা যেতে পারে।
জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ ক্ষেতলাল সাব জোন অফিস গণমঙ্গল অভিযোগ কেন্দ্রের লাইন টেকনিশিয়ান সাহাদত হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তালগাছগুলোর ডাল একটু রেখে কাটতে পারতো। কিন্তু কাটতে কাটতে এমনভাবে কেটেছে। এখন লাইনের নিচে তালগাছ। তালগাছে বজ্রপাত পড়ে। এতে অনেকে প্রাণ রক্ষা পায়। আশা করি এই বিষয়ে আমরা সচেতন থাকবো।
পল্লী বিদ্যুৎ ক্ষেতলাল সাব জোন অফিসের এজিএম-ও অ্যান্ড এম নাজিম হোসাইন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমাদের নিয়ম হলো তারের ওপরে, নিচে ও আশেপাশে ১০ ফিট কেটে দিতে হবে। এখানে গাছ বা ডাল থাকলে তা কেটে দিতে হবে। তালগাছের মাথা ন্যাড়া করে দেয়া থাকলে শ্রমিকরা ঠিক করেনি।