“হামাস ইসরায়েলের জনগণের প্রতি তাদের নৃশংসতা প্রমাণ করেছে এবং এখন গাজাবাসীদের প্রতিও একই কাজ করছে” – ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ গাজায় সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এমন মন্তব্য করেছেন।
সোমবার সকালে হাগারি বলেন, হিজবুল্লাহ দক্ষিণ ফ্রন্ট থেকে আইডিএফকে বিভ্রান্ত করার জন্য ইরানের সহায়তায় উত্তর ইসরায়েলে গুলি বর্ষণ করেছে।
তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ যদি আমাদের পরীক্ষা করার চেষ্টা করে, তাহলে এর জবাব হবে প্রাণঘাতী। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয়করে কাজ করছি, এটা আমাদের কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত হবে।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে কথিথ যুদ্ধবিরতির বিষয়েও হাগারি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি’ হয়নি। কিছু পরিবর্তন হলে আমরা জনগণকে আপডেট করব।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ইরানের যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন।
আল আরাবিয়ার খবর অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান, ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে যুদ্ধের নতুন ফ্রন্ট (যুদ্ধের প্রান্তর বা সম্মুখভাগ) হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘কোনো না কোনো ভাবে ইরান যুদ্ধে সরাসরি সম্পৃক্ত হবে আমরা এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারি না। যেকোনো সম্ভাব্য অনিশ্চয়তার জন্য আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
ইরান দীর্ঘদিন যাবত হামাস এবং লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লার সমর্থনদাতা হিসেবে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের অভিযোগ, তেহরান ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং লেবাননের সংগঠনকে অস্ত্রসহ অন্যান্য রসদ প্রদান করে।