কার্টুন ছোটদের খুবই মজার একটি বিনোদন। কিন্তু এটির মনোভাবগত দৃষ্টিভঙ্গিতে শিশুদের উপর রয়েছে বিশাল প্রভাব। ব্যস্ত অভিভাবকেরা সহজে সন্তানকে এটি দিয়ে ব্যস্ত রাখতে পারছেন। কোন একটি দিকে মনোযোগী করে নিজের কাজ করার জন্য এমনকি খাওয়ার সময় শিশুকে কার্টুন দেখিয়ে খাওয়াচ্ছেন অভিভাবকেরা। বাচ্চাদের মধ্যে কার্টুনের প্রতি আগ্রহ ও আসক্তির প্রবণতা বাড়ছে।
চিন্তাগত প্রভাব
কার্টুন শিশুদের মানসিক উন্নতির জন্য সহায়ক হতে পারত যদি আমরা শিক্ষামূলক কার্টুন দেখাতে পারতাম। এটি তাদের চিন্তার বিকাশে এবং ভাবনা ব্যক্তিত্বে প্রভাব ফেলে। কিন্তু বাচ্চারা একবার এটির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়লে সহজেই এটি থেকে বের করে আনা সম্ভব হয় না।
শিক্ষামূলক উন্নতি
অনেক কার্টুন শিক্ষামূলক উন্নতির কাঠামো গড়ে তুলে। এটি শিক্ষার মাধ্যমে মজার ভাবে শেখার সুযোগ সৃষ্টি করে এবং ভাষার উন্নতির জন্য একটি ভাষার বাণী হিসেবে কার্টুন ব্যবহার করা হয়।
শিশুতুষ কন্টেন্ট নির্বাচন
যখন কার্টুন নির্বাচন করা হয়, তখন শিশুর বয়সের সাথে মিল রেখে নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। শিশু যেন উপযুক্ত বিষয়বস্তু দেখতে পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পারিবারিক বন্ধন তৈরি করা
এটি একটি পরিবারের মধ্যে একটি বন্ধনের কারণ হতে পারে। কারণ পরিবারের সবাই একসাথে বসে কার্টুন দেখলে এবং এটি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলে শিশুরা এটা থেকে শিখতে পারে।
ভারসাম্য তৈরি করা
শিশুদের কার্টুন দেখার সময় নির্দিষ্ট করতে হবে। তাদের জীবনে অন্যান্য ক্রিয়াবলীতে এবং বাইরে খেলার সময়ের সাথে এটিকে আলাদা করতে হবে।
ব্যবহার ও সামাজিকতা
কার্টুনের মাধ্যমে দৃষ্টিকোণ শিখানো হতে পারে, এবং এটি শিশুদের অনুভূতি ও সামাজিক দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
ভাল উদাহরণ তৈরি করতে হবে
কিছু অভিভাবক চিন্তা করতে পারে যে, শিশুদের কার্টুন দেখার সময় বেশি হলে এটি ক্ষতির কারণ হবে। এটা অবশ্যই সত্য। তাই বলে এটাকে বাতিল করে দেয়াও ঠিক নয়। নির্দিষ্ট সময় বেধে দিতে হবে। সৃষ্টশীল কার্টুনের প্রতি সচেতন থাকতে হবে।
সাংস্কৃতিক উপাদান
যখন কার্টুন নির্বাচন করা হয়, তখন সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিত্বের গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের শিশুদের প্রতি সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিত্ব সহজেই আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
ভাল মন্দ
কার্টুনের উপর অনেক ভুল ধারণা রয়েছে, এমনকি কিছু অভিভাবক মনে করতে পারে যে এটি শিশুর জন্য শিক্ষামূলক নয়। এটি সত্যি এবং মিথস দুটি দিক রয়েছে। ভালটা গ্রহণ করতে হবে।
ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা
কার্টুনের বিভিন্ন ধরণের প্রভাব সম্পর্কে শিশুদের ধারনা দিতে হবে। এটি কি কি কারণে ক্ষতির কারণ হতে পারে তা তাদের বুঝাতে হবে।
গাইডলাইন দিতে হবে
বাচ্চাদের জন্য স্ক্রীনে দীর্ঘ সময় ব্যয় করা ক্ষতিকর। অন্যান্য কাজ যদি তারা মনোযোগী থাকে তবে তাদের কার্টুন দেখতে দেয়া হবে। সকল কাজের রুটিন তৈরি করে দেয়া যেতে পারে।
বাংলা কার্টুন
আপনার শিশুর জন্য উপযুক্ত এবং মজাদার বাঙালি কার্টুনগুলো এবং শিক্ষামূলক কার্টুনগুলো বুকমার্ক করে আলাদা করে দিতে হবে। স্বাধীনভাবে শিশুরা যেকোন কার্টুন ও যেকোন সংস্কৃতির কার্টুন যেন না দেখে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।
অভিভাবকের সচেতনতা
কার্টুন শিশুদের জন্য ভাল একটি বিনোদনমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ করে দিতে পারলে শিশুদের জন্য এটি মঙ্গলকর। নয়ত এটির আশক্তি আপনার শিশুকে ধ্বংস করে দিতে পারে।