ঢাকা মেডিকেল: সুখী বেগমের নবজাতক চুরি কাহিনী

ঢাকা মেডিকেল: সুখী বেগমের নবজাতক চুরি কাহিনী

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আবারও সমালোচনার মুখে পড়েছে, যখন নিরাপত্তা ক্যামেরা, রেজিস্টার এন্ট্রি, এবং আনসার সদস্যদের উপস্থিতি থাকা সত্ত্বেও একটি নবজাতক চুরি হয়েছে। এই ঘটনায় সন্তানের বাবা-মা, শরিফুল ইসলাম এবং সুখী বেগম, দিশেহারা এবং তাদের সন্তানের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য আকুতি জানাচ্ছেন।

ঘটনা বিবরণী

মঙ্গলবার, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সুখী বেগম দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কয়েক ঘণ্টা পর, একটি নবজাতক চুরি হয়ে যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কালো বোরখা এবং হলুদ ওড়না পরা এক নারী নবজাতক নিয়ে আনসার সদস্যদের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, একটি কার্ড দেখিয়ে। নিরাপত্তার এত ব্যবস্থা থাকার পরও নবজাতক চুরি হওয়ার ঘটনা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।

দিশেহারা বাবা-মা

শরিফুল ইসলাম এবং সুখী বেগম, ধামরাইয়ের বাসিন্দা, এখন দুশ্চিন্তা এবং বেদনায় দিন কাটাচ্ছেন। তারা তাদের চুরি হওয়া সন্তানের ফিরে পাওয়ার জন্য আকুতি জানাচ্ছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শরিফুলকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়েছে, যেখানে তিনি তার সন্তানের চোরকে শনাক্ত করতে পেরেছেন।

নিরাপত্তা ব্যর্থতা

হাসপাতালের গাইনী বিভাগ এবং নবজাতক ওয়ার্ডে পূর্বে শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে সিসি ক্যামেরা এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তবুও, চোর নিরাপত্তা সদস্যদের ধোঁকা দিয়ে নবজাতককে চুরি করতে সক্ষম হয়।

প্রতারণা এবং চুরি

শরিফুল এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। এক নারী, যিনি প্রথমে সহায়ক মনে হয়েছিলেন, তাকে তার নবজাতককে মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। তিনি প্রথম সন্তানটি ফিরিয়ে দিয়ে দ্বিতীয়টি নিয়ে যান, এবং পরে তা নিয়ে উধাও হয়ে যান। শরিফুল, বিশ্বাস করে, শিশুটিকে রেখে ওষুধ আনতে গিয়ে ফিরে এসে দেখেন তার সন্তান এবং ওই নারী নেই।

কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া

হাসপাতালটি একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে এই ঘটনা তদন্তের জন্য, যার নেতৃত্বে আছেন গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজা ওয়াজেদ। শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, এবং শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন টিম কাজ করছে।

আবেগময় প্রভাব

এই ঘটনায় সুখী বেগম ভেঙ্গে পড়েছেন এবং গভীর কষ্টে আছেন। তিনি অন্য নবজাতককে সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারছেন না। পরিবারের আর্থিক ও মানসিক চাপ স্পষ্ট, শরিফুল বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের দোরগোড়ায় ছুটছেন সাহায্যের জন্য।

উপসংহার

এই মর্মান্তিক ঘটনা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি তুলে ধরেছে। “ঢাকা মেডিকেল নিরাপত্তা ভঙ্গ” এই কীওয়ার্ডটি নিরাপত্তার গুরুত্ব তুলে ধরতে এবং রোগী ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *